ওর বয়স যখন ১০ তখন থেকেই আমার বান্ধবী ঈশিকা প্রতি
জন্মদিনেই একটা করে গন্ধরাজ ফুল উপহার পেত।
এই ফুল কে পাঠাতো ও জানতো না। জন্মদিন এলেই পার্সেল সার্ভিসে ওর উপহার সময় মতো চলে আসতো। ডেলিভারি ম্যানকে জিজ্ঞেস করলে বলত কে ফুল পাঠিয়েছে তা জানে না।
ও সব সময় ওই ফুল নিয়ে ভাবতো। বলতো, হয়তো কখনও অজান্তেই কারো কোন উপকার করেছি। তাই তাদের কেউ হয়ত কৃতজ্ঞতা জানাতে আমাকে ফুল পাঠায়।
আরো বলতো, আমার ভাবতে ভালো লাগতো হয়তো কোন ছেলে আমাকে দূর থেকে দেখে পছন্দ করে ফেলেছে। আর তাই সে আমার জন্মদিনে আমাকে এই সুন্দর ফুলটা পাঠায়। এসব বলেই সে হাসতে শুরু করত। আর আমরা বান্ধবীরা এ নিয়ে যে কত দুষ্টামি আর মজা করতাম তা বলে শেষ করা যাবে না।
ও এসব নিয়ে ওর মার সাথেও গল্প করত। ওর মা ছিল ওর সবচেয়ে ভালো বন্ধু। ওর প্রতিটি কাজে ওর মার উৎসাহ আমাদের অবাক করত।
এক সময় ঈশিকা প্রেমে পড়ে। তবে খুব অল্প দিনেই ছেলেটি তাকে ছেড়ে চলেও যায়। যেদিন ছেলেটি সব কিছু শেষ করে দেয় সেদিন ও খুব কেঁদেছিল। পরে সে আমাদের বলে, সেদিন সারারাত কেঁদেছি। কিছুই খাইনি। তাতে ওর মা একটুও বিরক্ত হননি।
বলে, সকালে আমার আয়নায় একটা লেখা দেখে আমি অবাক হই। সেখানে লেখা যখন কোন দেবতা মুখ ফিরিয়ে নেয় তখন অন্য দেবতা আসেন। আমার বুঝতে বাকি থাকে না মা তার পাগল মেয়েকে শান্তনা দিতেই লিখে রেখে গেছেন।
ও সব সময় ওর মায়ের নানা গল্প করতো। কিন্তু ও যখন ১৫-তে পা রাখে অমন বন্ধুর মতো মাকে সে হারায়। এর কিছু দিন পরই এল ওর জন্মদিন। কিন্তু কোন গন্ধরাজ মিলল না। এত বছরের সুখের গন্ধরাজ অবশেষে কাঁদিয়ে জানালো কে ছিল প্রেরক।
এই ফুল কে পাঠাতো ও জানতো না। জন্মদিন এলেই পার্সেল সার্ভিসে ওর উপহার সময় মতো চলে আসতো। ডেলিভারি ম্যানকে জিজ্ঞেস করলে বলত কে ফুল পাঠিয়েছে তা জানে না।
ও সব সময় ওই ফুল নিয়ে ভাবতো। বলতো, হয়তো কখনও অজান্তেই কারো কোন উপকার করেছি। তাই তাদের কেউ হয়ত কৃতজ্ঞতা জানাতে আমাকে ফুল পাঠায়।
আরো বলতো, আমার ভাবতে ভালো লাগতো হয়তো কোন ছেলে আমাকে দূর থেকে দেখে পছন্দ করে ফেলেছে। আর তাই সে আমার জন্মদিনে আমাকে এই সুন্দর ফুলটা পাঠায়। এসব বলেই সে হাসতে শুরু করত। আর আমরা বান্ধবীরা এ নিয়ে যে কত দুষ্টামি আর মজা করতাম তা বলে শেষ করা যাবে না।
ও এসব নিয়ে ওর মার সাথেও গল্প করত। ওর মা ছিল ওর সবচেয়ে ভালো বন্ধু। ওর প্রতিটি কাজে ওর মার উৎসাহ আমাদের অবাক করত।
এক সময় ঈশিকা প্রেমে পড়ে। তবে খুব অল্প দিনেই ছেলেটি তাকে ছেড়ে চলেও যায়। যেদিন ছেলেটি সব কিছু শেষ করে দেয় সেদিন ও খুব কেঁদেছিল। পরে সে আমাদের বলে, সেদিন সারারাত কেঁদেছি। কিছুই খাইনি। তাতে ওর মা একটুও বিরক্ত হননি।
বলে, সকালে আমার আয়নায় একটা লেখা দেখে আমি অবাক হই। সেখানে লেখা যখন কোন দেবতা মুখ ফিরিয়ে নেয় তখন অন্য দেবতা আসেন। আমার বুঝতে বাকি থাকে না মা তার পাগল মেয়েকে শান্তনা দিতেই লিখে রেখে গেছেন।
ও সব সময় ওর মায়ের নানা গল্প করতো। কিন্তু ও যখন ১৫-তে পা রাখে অমন বন্ধুর মতো মাকে সে হারায়। এর কিছু দিন পরই এল ওর জন্মদিন। কিন্তু কোন গন্ধরাজ মিলল না। এত বছরের সুখের গন্ধরাজ অবশেষে কাঁদিয়ে জানালো কে ছিল প্রেরক।