মুমু, আমার প্রথম
প্রেম, ভালোবাসা। ওকে প্রথম দেখি আজ হতে ৭ বছর আগে। ফাগুনের শুরুতে, সেবারের বষন্ত
আমার হৃদয়ে ভালোবাসার ফুল ফুটিয়েছিলো। ভালবেসেছিলাম আমি।
একই কোচিং এ পড়তাম, একই ব্যাচে। আমার কিছুদিন পরেই ও ভর্তি হয়।
প্রথম দিনেই নজর কেড়েছিলো,যদিও দেখতে আহামরী সুন্দরী নয়। কিন্তু কি অদ্ভুত মায়া লুকানো। মায়া জালে আটকা পড়লাম।
ধীরে ধীরে খেয়াল করলাম সে আমার অনুভূতির পুরোটা জুড়ে। আমার অস্তিত্বে মিশে গেছে। তাঁকে কেন ভালো লাগলো জানি না, শুধু জানি ভালো লাগে।
মুমু খুবই সাধারণ জীবন যাপন করতো। সাজগোজ বিহীন এক মেয়ে। এক কথায় সে ছিলো অসাধারণ রকমের সাধারণ। আমি জানতামই না মানুষ এতোটা Simple হতে পারে।
এর মধ্যে আমাদের দু ব্যাচে সরিয়ে দেয়, আমার ক্লাস সকাল ৭টায়, আর মুমুর ক্লাস বিকেল ৫টায় তাই প্রতিদিন দেখা হতো নাকিন্তু ওর খোঁজ ঠিকই রাখতাম। বন্ধুদের কাছে কিছুই লুকানো যায় না, আমিও লুকাতে পারিনি। বন্ধুদের কাছে ধরা পড়ে যাই।
দেখ্তে দেখতে S.S.C. পরীক্ষা এসে গেল, আমিও পরীক্ষা নিয়ে ও ব্যাস্ত হয়ে গেলাম। কিন্তু আমার সব কিছুতেই মুমু।
গানের ভাষায়,
“ঐ মেয়েটির জন্য আহার নিদ্রা সবই গেছে চলে,
তবু বেঁচে আছি পৃথিবীতে মেয়েটি আছি বলে।“
ওকে জানানোর সাহস পেলাম না, যদি কথা বলার অধিকারও হারিয়ে ফেলি সেই ভয়ে বুক কেঁপে উঠলো। ওকে হারানোর ভয় যে অনেক কষ্টের। আর তা ছাড়াও আমার পথে বাধার দেয়াল তুলে দাড়ালো দরিদ্রতা। আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের বড় সন্তান। পুরো পরিবারের দায়িত্ব যে আমার কাঁধে।
মুমু আমার সাথে জড়িয়ে গেলে যে ওকে কঠিন সংরাম করতে হবে। সংসার আর জীবন সাজাতে সাজাতে জীবিন থেকে হারিয়ে যাবে অনেকগুলোদিন। মলিন হয়ে যাবে মুমুর হাসি। ওর ঐ হাসিটা হারিয়ে যাবে।
আমি জানতাম মুমু যদি আমার পাশে থাকে, ও যদি আমার এক হাত ধরে তবে অন্য হাতটি দিয়ে আমি পুরো পৃথিবী জয় করতে পারবো। পৃথিবীর সমস্ত সুখ ওর পায়ের নীচে আনতে পারবো। কিন্তু বরাবরই স্বার্থ্পর এই আমি কেন জানি স্বার্থপর হতে পারলাম না। হয়্তো এটাই ভালোবাসা। কিছুতেই মানতে পারলাম না আমার জন্য, শুধু আমার সুখের জন্য আমারই ভালোবাসার মানুষটি কষ্ট পাবে। নতুন রুপে আবিষ্কার করলাম নিজেকে। যদিও এটা জানতাম যে ওকে ছারা আমি অসম্পূর্ণ। একটা মুহুর্তও শান্তি পাবোনা ওকে ছাড়া তবুও..…..….…
ভাবলাম কখনোই জানাবো না ভালবাসার কথা। বন্ধু হয়ে পাশে থাকবো ওর সুখ-দুঃখের সাথী হয়ে। এর মাঝে মাঝে পরীক্ষাও শেষ হয়ে গেলো, বাসা বদলে ফেলি।
ও গোল্ডেন A+ পেয়ে ভর্তি হলো Chittagong College এ আর আমি Shaheen College এ. আমি প্রতিদিনই আমার কলেজ শেষে ওকে দেখতে আসতাম। (আমার কলেজ থেকে ওর কলেজ আসতে প্রায় ২.৫ ঘন্টা লাগে। যদিও কোনদিনো ওর দেখা পাইনি। আমি ওর ভালোবাসায় এতোটা মগ্ন ছিলাম যে অন্য কারো অস্তিত্ব খেয়ালই করি নাই। এমনকি আমার কলেজ বান্ধবীদের মধ্যে ২-৩ জনকে চিনি, কোনমেয়েকেই গুরুত্ব দেইনি।
মুমুর ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু ওকে আমার নামে বাজে কথা বলে। সেই ছেলে ওর বন্ধু হওয়াতে মুমু ওর কথাই বিশ্বাস করে। আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগটাও দেয়া হয় নি। যাই হোক মুমুর কাছে চখে খারাপ হয়ে গেলাম। মুমুকে পাবোনা তা আগে থেকেই জানতাম, এবার ওর চোখে খারাপ হয়ে গেলাম। এখন ওকে বোঝাতেই পারিনা আমি কেন আমার ভালোবাসার কথা বলি নি। আমি বিনা দোষেই শাস্তি পেলাম, ওকে ভালোবেসেও হারালাম।
তখন আমার সময়্টা ভালো যাচ্ছিলো না, এতো বছর ধরে যাকে ভালোবাসি সে আমাকে ভুল বুঝলো, একজনের মুখের কথার কাছেই আমার ৭ বছরের ভালোবাসা হেরে গেলো। বেঁচে থাকার ইচ্ছেটাই শেষ হয়ে যায়, এমনোদিন আছে আমি ৫-৬টা ঘুমের ঔষধ খেয়েছি। এমন সময় একদিন ফেইসবুকে পুরোনো এক বন্ধু শান্তা কে পেলাম। আমার কষ্ট্গুলো কারো সাথে Share করা জরুরী হয়ে পড়ে। তাই শান্তার চেয়ে ভালো কাউকে পেলাম না। শান্তাও অনেক সময় ও সহানুভূতির সাথে আমার কথা শুনে। আমার একটা অবলম্বন দরকার ছিলো। তাই নিজের অজান্তেই "প্রেম একবার এসেছিলো জীবনে" গানটাকে ভুল প্রমাণিত করে শান্তার প্রেমে পড়ে গেলাম। ডুবন্ত মানুষ যেমন পাতা আক্ঁড়ে ধরে বাঁচতে চায় তেমনি আমিও শান্তাকে অবলম্বণ করে বাঁচতে চাইলাম। ভালোই চল্ছিল সব, বন্ধু হয়েই কথাবার্তা চালিয়ে যাচ্ছিলাম। ধীরে ধীরে আমার অপারেশান এর দিন ঘনিয়ে আসছে আর আমিও শান্তার প্রতি দূর্বলতা বেরে যাচ্ছিলো। এভাবে আমার অপারেশান এর দিন চলে এলো। OTর bed এ শুয়ে বারবার শান্তার কথা মনে পড়ছিলো, যদি সে আমার পাশে থাকতো যদি একটাবার সে আমার হাত ধরে, যতক্ষন জ্ঞান ছিলো আমি শান্তার জন্য দোয়া করেছি, নিজের হায়াৎ বৃদ্ধির দোয়া না। চোখ বোজার আগে মনে হলো শান্তা আমার পাশে দাড়িয়ে হাসছে। অপারেশান শেষে আমি আবার স্বাভাবিক জীবন শুরু করলাম। শান্তার পরিবর্তন খেয়াল করলাম। একদিন হঠাৎ করেই নিজেকে সামলাতে না পেরে শান্তাকে আমার ভালোলাগার কথা বলেই ফেললাম। কিন্তু আমার কপালে সুখ নেই, জানতে পারলাম সে অন্যের হয়ে গেছে……..
ও একদিন লাল শাড়িতে সাজনে, ঠিক যেমনটা আমি চেয়েছি। তবে সেটা আমার জন্য নাঅন্যের ঘরে যাওয়ার জন্য। ও যানবেই না কতটা ভালবাসি ওকে!!! আমি ওই দৃশ্য দেখতে চাই না। আমি চাই ও অন্যের হওয়ার আগেই মৃত্যু যেন আমায় ছুঁয়ে যায়। অন্যের আলিঙ্গনে ওকে দেখার মত শক্তি আমার নেই। ও আমাকে ভালোবাসুক আর নাই বাসুক আমি ওকে ভালোবেসেই যাবো, যত কষ্ট পেতে হয় মাথা পেতে নেবো।
ওর উদ্দেশ্যে বলতে চাই,
ভালবাসি, কি-যে ভালোবাসি, কত ভালোবাসি
শুধু এতটুকু মনে রেখো,
যেখানেই যাও ভালো থেকো………..
*সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা।।
একই কোচিং এ পড়তাম, একই ব্যাচে। আমার কিছুদিন পরেই ও ভর্তি হয়।
প্রথম দিনেই নজর কেড়েছিলো,যদিও দেখতে আহামরী সুন্দরী নয়। কিন্তু কি অদ্ভুত মায়া লুকানো। মায়া জালে আটকা পড়লাম।
ধীরে ধীরে খেয়াল করলাম সে আমার অনুভূতির পুরোটা জুড়ে। আমার অস্তিত্বে মিশে গেছে। তাঁকে কেন ভালো লাগলো জানি না, শুধু জানি ভালো লাগে।
মুমু খুবই সাধারণ জীবন যাপন করতো। সাজগোজ বিহীন এক মেয়ে। এক কথায় সে ছিলো অসাধারণ রকমের সাধারণ। আমি জানতামই না মানুষ এতোটা Simple হতে পারে।
এর মধ্যে আমাদের দু ব্যাচে সরিয়ে দেয়, আমার ক্লাস সকাল ৭টায়, আর মুমুর ক্লাস বিকেল ৫টায় তাই প্রতিদিন দেখা হতো নাকিন্তু ওর খোঁজ ঠিকই রাখতাম। বন্ধুদের কাছে কিছুই লুকানো যায় না, আমিও লুকাতে পারিনি। বন্ধুদের কাছে ধরা পড়ে যাই।
দেখ্তে দেখতে S.S.C. পরীক্ষা এসে গেল, আমিও পরীক্ষা নিয়ে ও ব্যাস্ত হয়ে গেলাম। কিন্তু আমার সব কিছুতেই মুমু।
গানের ভাষায়,
“ঐ মেয়েটির জন্য আহার নিদ্রা সবই গেছে চলে,
তবু বেঁচে আছি পৃথিবীতে মেয়েটি আছি বলে।“
ওকে জানানোর সাহস পেলাম না, যদি কথা বলার অধিকারও হারিয়ে ফেলি সেই ভয়ে বুক কেঁপে উঠলো। ওকে হারানোর ভয় যে অনেক কষ্টের। আর তা ছাড়াও আমার পথে বাধার দেয়াল তুলে দাড়ালো দরিদ্রতা। আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের বড় সন্তান। পুরো পরিবারের দায়িত্ব যে আমার কাঁধে।
মুমু আমার সাথে জড়িয়ে গেলে যে ওকে কঠিন সংরাম করতে হবে। সংসার আর জীবন সাজাতে সাজাতে জীবিন থেকে হারিয়ে যাবে অনেকগুলোদিন। মলিন হয়ে যাবে মুমুর হাসি। ওর ঐ হাসিটা হারিয়ে যাবে।
আমি জানতাম মুমু যদি আমার পাশে থাকে, ও যদি আমার এক হাত ধরে তবে অন্য হাতটি দিয়ে আমি পুরো পৃথিবী জয় করতে পারবো। পৃথিবীর সমস্ত সুখ ওর পায়ের নীচে আনতে পারবো। কিন্তু বরাবরই স্বার্থ্পর এই আমি কেন জানি স্বার্থপর হতে পারলাম না। হয়্তো এটাই ভালোবাসা। কিছুতেই মানতে পারলাম না আমার জন্য, শুধু আমার সুখের জন্য আমারই ভালোবাসার মানুষটি কষ্ট পাবে। নতুন রুপে আবিষ্কার করলাম নিজেকে। যদিও এটা জানতাম যে ওকে ছারা আমি অসম্পূর্ণ। একটা মুহুর্তও শান্তি পাবোনা ওকে ছাড়া তবুও..…..….…
ভাবলাম কখনোই জানাবো না ভালবাসার কথা। বন্ধু হয়ে পাশে থাকবো ওর সুখ-দুঃখের সাথী হয়ে। এর মাঝে মাঝে পরীক্ষাও শেষ হয়ে গেলো, বাসা বদলে ফেলি।
ও গোল্ডেন A+ পেয়ে ভর্তি হলো Chittagong College এ আর আমি Shaheen College এ. আমি প্রতিদিনই আমার কলেজ শেষে ওকে দেখতে আসতাম। (আমার কলেজ থেকে ওর কলেজ আসতে প্রায় ২.৫ ঘন্টা লাগে। যদিও কোনদিনো ওর দেখা পাইনি। আমি ওর ভালোবাসায় এতোটা মগ্ন ছিলাম যে অন্য কারো অস্তিত্ব খেয়ালই করি নাই। এমনকি আমার কলেজ বান্ধবীদের মধ্যে ২-৩ জনকে চিনি, কোনমেয়েকেই গুরুত্ব দেইনি।
মুমুর ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু ওকে আমার নামে বাজে কথা বলে। সেই ছেলে ওর বন্ধু হওয়াতে মুমু ওর কথাই বিশ্বাস করে। আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগটাও দেয়া হয় নি। যাই হোক মুমুর কাছে চখে খারাপ হয়ে গেলাম। মুমুকে পাবোনা তা আগে থেকেই জানতাম, এবার ওর চোখে খারাপ হয়ে গেলাম। এখন ওকে বোঝাতেই পারিনা আমি কেন আমার ভালোবাসার কথা বলি নি। আমি বিনা দোষেই শাস্তি পেলাম, ওকে ভালোবেসেও হারালাম।
তখন আমার সময়্টা ভালো যাচ্ছিলো না, এতো বছর ধরে যাকে ভালোবাসি সে আমাকে ভুল বুঝলো, একজনের মুখের কথার কাছেই আমার ৭ বছরের ভালোবাসা হেরে গেলো। বেঁচে থাকার ইচ্ছেটাই শেষ হয়ে যায়, এমনোদিন আছে আমি ৫-৬টা ঘুমের ঔষধ খেয়েছি। এমন সময় একদিন ফেইসবুকে পুরোনো এক বন্ধু শান্তা কে পেলাম। আমার কষ্ট্গুলো কারো সাথে Share করা জরুরী হয়ে পড়ে। তাই শান্তার চেয়ে ভালো কাউকে পেলাম না। শান্তাও অনেক সময় ও সহানুভূতির সাথে আমার কথা শুনে। আমার একটা অবলম্বন দরকার ছিলো। তাই নিজের অজান্তেই "প্রেম একবার এসেছিলো জীবনে" গানটাকে ভুল প্রমাণিত করে শান্তার প্রেমে পড়ে গেলাম। ডুবন্ত মানুষ যেমন পাতা আক্ঁড়ে ধরে বাঁচতে চায় তেমনি আমিও শান্তাকে অবলম্বণ করে বাঁচতে চাইলাম। ভালোই চল্ছিল সব, বন্ধু হয়েই কথাবার্তা চালিয়ে যাচ্ছিলাম। ধীরে ধীরে আমার অপারেশান এর দিন ঘনিয়ে আসছে আর আমিও শান্তার প্রতি দূর্বলতা বেরে যাচ্ছিলো। এভাবে আমার অপারেশান এর দিন চলে এলো। OTর bed এ শুয়ে বারবার শান্তার কথা মনে পড়ছিলো, যদি সে আমার পাশে থাকতো যদি একটাবার সে আমার হাত ধরে, যতক্ষন জ্ঞান ছিলো আমি শান্তার জন্য দোয়া করেছি, নিজের হায়াৎ বৃদ্ধির দোয়া না। চোখ বোজার আগে মনে হলো শান্তা আমার পাশে দাড়িয়ে হাসছে। অপারেশান শেষে আমি আবার স্বাভাবিক জীবন শুরু করলাম। শান্তার পরিবর্তন খেয়াল করলাম। একদিন হঠাৎ করেই নিজেকে সামলাতে না পেরে শান্তাকে আমার ভালোলাগার কথা বলেই ফেললাম। কিন্তু আমার কপালে সুখ নেই, জানতে পারলাম সে অন্যের হয়ে গেছে……..
ও একদিন লাল শাড়িতে সাজনে, ঠিক যেমনটা আমি চেয়েছি। তবে সেটা আমার জন্য নাঅন্যের ঘরে যাওয়ার জন্য। ও যানবেই না কতটা ভালবাসি ওকে!!! আমি ওই দৃশ্য দেখতে চাই না। আমি চাই ও অন্যের হওয়ার আগেই মৃত্যু যেন আমায় ছুঁয়ে যায়। অন্যের আলিঙ্গনে ওকে দেখার মত শক্তি আমার নেই। ও আমাকে ভালোবাসুক আর নাই বাসুক আমি ওকে ভালোবেসেই যাবো, যত কষ্ট পেতে হয় মাথা পেতে নেবো।
ওর উদ্দেশ্যে বলতে চাই,
ভালবাসি, কি-যে ভালোবাসি, কত ভালোবাসি
শুধু এতটুকু মনে রেখো,
যেখানেই যাও ভালো থেকো………..
*সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা।।
(সংগৃহীত...........................)